পাটজাত পণ্যে আয় ২১ শতাংশ বেড়েছে
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, গত মৌসুমে দেশে ৭৪.৪৬ লাখ বেল কাঁচাপাট উৎপাদিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যে ৬১৬.২০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০.৮২ শতাংশ বেশি।
এ সময় মন্ত্রী আরো জানান, পাট বিষয়ে গবেষণা, পাটের উৎপাদন, বহুমুখী পাট পণ্যের উৎপাদন, ব্যবহার ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করবে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার গোলাম দস্তগীর গাজী সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সওদাগর মুস্তাফিজুর রহমান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাটমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল শুক্রবার ‘জাতীয় পাট বিদস’। পাট পণ্যের প্রসার ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পাটচাষি, পাটপণ্যের উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারী, ব্যবসায়ী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনকে সম্পৃক্ত করে এবারের দিবসটি পালন করা হবে।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদার কথা উল্লেখ করে পাটমন্ত্রী বলেন, সরকার পাট শিল্পের সম্প্রসারণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, পাট ক্রয়-বিক্রয় সহজীকরণের জন্য এসএমএস ভিত্তিক পাট ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাঁচাপাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা, পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে।
গোলাম দস্তগীর গাজী আরো বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিকের অতি ব্যবহারের ফলে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। ফলে বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। পাটের তৈরি বহুমুখী পরিবেশবান্ধব নতুন পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে পাটের গৌরব পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের মাধ্যমে পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ ও ব্যবহারের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যের প্রায় ৭০০ উদ্যোক্তা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন যার বেশিরভাগই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।