পানপাতা ছেঁড়ায় শিশুকে মারধর

বরজ থেকে পান ছেড়ার অভিযোগে মালিকের নির্যাতনের শিকার হয়েছে সপ্তম শ্রেণির একটি শিশু। ওই শিশুকে গামছা দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়। তিন ঘণ্টা আটকে রাখা শিশুটিকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয় একটি চা দোকান থেকে।
গতকাল শুক্রবার সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুরে ওই ঘটনা ঘটে। শিশুটির নাম মোস্তাফিজুর রহমান। সে এখন সখিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মোস্তাফিজুর স্থানীয় চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, মোস্তাফিজুর গ্রামের একটি বরজ থেকে গোপনে প্রায়ই পানপাতা ছিঁড়ে নিয়ে যায়। তা জানতে পেরে বরজের মালিক সমর সরকার ও তাঁর কর্মচারী শুক্রবার সকালে কয়েকটি পানপাতাসহ তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে গামছা দিয়ে বেঁধে সখিপুর মোড়ে একটি চা দোকানে লুকিয়ে রাখা হয়। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জগন্নাথ সরকার শিশুটিকে উদ্ধার করে সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
তবে বরজের মালিক সমর সরকার বলেন, শিশুটিকে মারধর করা হয়নি। ইউপি সদস্যের কাছে বিচার দেওয়ার জন্য সখিপুর মোড়ে সিরাজুলের চা দোকানে তাকে আটকে রাখা হয়।’
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ‘লিখিতভাবে এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করে নি।’ অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।