পাবনায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫
পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাধানগর মক্তবপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ বিকেল ৫টার দিকে পৌরসভা নির্বাচনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকের পদপ্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর ফরিদুল ইসলাম ডালুর পক্ষে মিছিল বের করে তাঁর সমর্থকরা। এ সময় একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী পাঞ্জাবি প্রতীকের পদপ্রার্থী সানাউল হক ছানুর সমর্থকরা হাতুরি ও রড নিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকজন নারীকে আহত করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে মিছিল বের করেন ডালুর সমর্থকরা।
পরে পুলিশ প্রহরায় কাউন্সিলর প্রার্থী ডালুর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে মক্তবমোড় এলাকায় এলে সানুর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উটপাখি প্রতীকের পদপ্রার্থী ফরিদুল ইসলাম ডালু বলেন, ‘আজ বিকেলে আমার নারী সমর্থকদের মিছিল ও গণসংযোগের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। হঠাৎ করেই সানাউল হক ছানুর ছেলে তুহিনের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক এসে হাতুরি, রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিছিল বের করতে বাধা দেয়। আমার সমর্থকরা প্রতিবাদ জানালে তারা নির্মমভাবে নারীকর্মী বীনা, আরজিনা, লতিফা, ফারজানাকে পেটায়। আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ আসার পর তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ প্রহরায় আমরা মিছিল বের করি। মক্তব মোড় এলাকায় তারা আবারো আমাদের মিছিলে হামলা করে।’
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে পাঞ্জাবি প্রতীকের পদপ্রার্থী সানাউল হক বলেন, ‘ফরিদুল ইসলাম ডালু নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি ও আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। মিথ্যা রটনা করে তাঁর সমর্থক সন্ত্রাসীরা আমার ছেলে তুহিনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। সে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তবে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা সফল হবে না।’
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রওশন আলী বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়েই আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয়পক্ষকে সংঘর্ষে না জড়াতে সতর্ক করেছি।’