পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগে স্কুলছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগে স্কুলছাত্র তুষারকে (১৩) গাছে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত পুকুরমালিক জহিরুল ইসলাম (৪৫) চারঘাটের মেরামতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে গত শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রের বাবা ছহির উদ্দিন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে তুষার জহিরুল ইসলামের পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় পুকুরে কয়েকজন মাছ ধরছিল। কিছু সময় পর জহিরুল পুকুর পাড়ে আসেন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও তুষার গোসল করছিল। জহিরুল তুষারকে কান ধরে পুকুরপাড়ে নিয়ে এসে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। এরপর তাঁকে চড়-থাপ্পড় দেন। ঘণ্টাখানেক বেঁধে রাখার পর ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন ছেলেটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরবর্তীতে মুঠোফোনে গাছে বেঁধে রাখার দৃশ্য জহিরুল ইসলাম তাঁর ফেসবুকে শেয়ার করেন। এ ঘটনায় রাতে ওই ছাত্রের বাবা ছহির উদ্দিন বাদী হয়ে চারঘাট থানায় মামলা করেন।
ভিকটিম তুষারের বাবা ছহির উদ্দিন বলেন, ‘চুরির অপবাদ দিয়ে আমার ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। অন্য কেউ জহিরুলের পুকুরে মাছ চুরি করতে পারে, আমার ছেলে নয়। সে পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল। তবুও তাকে মারধর করা হয়েছে। সে এখন হাসপাতালে আছে।’
ছহির দাবি করেন, তার ছেলে তাঁকে জানিয়েছে জহিরুল তার পায়ুপথে মাছ ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। পুলিশ অবশ্য বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পায়ুপথে মাছ ঢুকিয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানি না। তবে ওই স্কুলছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। থানায় করা মামলায় ওই স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করায় একই মামলায় জহিরুলের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। আজ দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।