পুলিশ বাবাকে মেরে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছে : বিএনপি নেতার মেয়ে

মামলা বা পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশের হাতে আটক নরসিংদীর পলাশ পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতীর মুক্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তাঁর পরিবার। সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চিশতীর স্ত্রী রেহেনা বেগম ও তাঁদের মেয়ে মামিয়া আক্তার মিমের উপস্থিতিতে বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুস ছাত্তার। তিনি এ সময় মহিউদ্দিন চিশতীর মুক্তি দাবি করেন।
পরে লিখিত বক্তব্যে চিশতীর মেয়ে মিম বলেন, ‘আমার বাবা বিএনপির একনিষ্ঠ একজন নেতা। দলের সব সাংগঠনিক কার্যক্রমে তিনি সব সময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। গত ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির আঙিনা থেকে ঘোড়াশাল ফাঁড়ি পুলিশ বিনা মামলা ও বিনা পরোয়ানায় তাঁকে নিয়ে যায়। ফাঁড়িতে নিয়ে পুলিশ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে সেখান থেকে নরসিংদী ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।’
চিশতীর মেয়ে মিম আরো বলেন, ‘রাত ২টার দিকে নরসিংদী ডিবি পুলিশ আমার মা রেহেনা বেগমকে ডেকে নিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। নতুবা বাবাকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এই অবস্থায় জীবন রক্ষার্থে মা ডিবি পুলিশকে দুই লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন। এরপরও ডিবি পুলিশ তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার দেখিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে আদালতে পাঠায়। ওই মামলায় ডিবি পুলিশ তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায়। কিন্তু আদালত পুলিশের রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠাতে এবং কারা কর্তৃপক্ষকে আমার বাবার চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেন। আমরা জানতে পারি, পুলিশ তাঁকে মেরে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছে।’
‘আমার বাবা প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর জন্য এখন সুস্থভাবে জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়বে,’ বলছিলেন মিম।
বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মহিউদ্দিন চিশতী জেলখানায় চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া মহিউদ্দিন চিশতীর একটি মাছের খামারে গিয়েও পুলিশ হুমকি-ধমকি দিয়ে খামার কার্যক্রম বন্ধ রেখে তাঁকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।