প্রধানমন্ত্রী মৃত মোংলা বন্দরকে জীবিত করেছেন : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞা যে, তিনি মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরকে জীবিত করেছেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ বন্দরের প্রায় দেড়শ কিলোমিটার নৌপথ ড্রেজিং করে ১০ মিটার গভীরতাসম্পন্ন জাহাজ বন্দরে ভেড়ানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজ শনিবার ৭৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে যে প্রকল্পের উদ্বোধন করা হল তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সেটির অনুমোদনও দিয়েছেন।’
আজ শনিবার দুপুরে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের জয়মনি এলাকায় ইনার বার ড্রেজিং কাজের উদ্বোধনকালে নৌপ্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মোংলা বন্দরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। রেল লাইন যোগ হচ্ছে এবং ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলে এটি আন্তর্জাতিকমানের বন্দরে পরিণত হবে। আজ শুরু হওয়া ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বন্দরের সমমানের সক্ষমতা অর্জন করবে মোংলা বন্দর।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক, বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন এম আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) মো. গিয়াস উদ্দিন, ইনার বার ড্রেজিং প্রকল্প পরিচালক শেখ শওকত আলীসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
ইনার বার ড্রেজিং প্রকল্প পরিচালক শেখ শওকত আলী বলেন, ‘৭৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল খনন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তিনটি কাটার সাকশান ও দুটি হোপার ড্রেজার।’
বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল ও সুলতান আহমেদ খান বলেন, ‘ইনার বার ড্রেজিং সম্পন্ন হলে মোংলা বন্দরে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ বেড়ে হবে দ্বিগুণ।’
এর আগে সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে আউটার বারের ড্রেজিংও। শুরু হওয়া ইনার বার ড্রেজিং সম্পন্ন হলে বন্দরের প্রায় দেড়শ কিলোমিটার নদীপথ দিয়ে অধিক গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ অনায়াসে মোংলা বন্দরে যাতায়াত করতে পারবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।