প্রান্তিক কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে : সজীব ওয়াজেদ জয়
ব্যাংকিংয়ে কৃষকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকদের জন্য মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। ১১ মিলিয়নেরও বেশি কৃষক এখন এই ব্যাংক পরিষেবা গ্রহণ করছেন। কৃষকরা এখন কৃষিকাজের জন্য সুদমুক্ত ও স্বল্প সুদে ঋণ পাচ্ছেন। ফলে প্রান্তিক কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে এবং তাদের আগামী প্রজন্ম শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে।’
ভেরিফাইড টুইটার হ্যান্ডেলে আজ মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের লিংক শেয়ার করেন তিনি। ওই নিবন্ধে এমনটি জানানো হয়।
নিবন্ধে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়ন। ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত সরকার বিভিন্ন কৃষি কর্মসূচিতে ৭৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৩ জন কৃষকের মধ্যে ৮২৭ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে কৃষকদের সাশ্রয়ী মূল্যে সার ও হাইব্রিড বীজ দিতে ২০২১ সালে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। কৃষি উপকরণ সহায়তার জন্য ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪ জন কৃষককে স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়েছে।’
সার সরবরাহ সীমিত করে ফসলের উৎপাদন হ্রাসের জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের সিন্ডিকেটের সমালোচনা করে, সারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের গুলি করে হত্যা করায় ২০০১-২০০৬ সালের মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
বিএনপি-জামায়াতের মেয়াদের বর্ণনায় সজীব ওয়াজেদ জয় আরও বলেন, ‘সারের অভাবে চাষাবাদ করতে না পেরে সাতক্ষীরা, নড়াইল, মেহেরপুর, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহীতে কৃষকরা কফিন ও কাফন নিয়ে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। কিন্তু বিএনপি সরকার তার দলীয় গুণ্ডাদের মোতায়েন করে সাধারণ কৃষকদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। কুড়িগ্রাম ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১২ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সারের অভাবে বাংলাদেশে বোরো ও ইরি চাষ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছিল।’
নিবন্ধে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘নানা সুবিধা নিয়ে বিএনপি নেতারা কৃষকদের নিঃস্ব করার অপচেষ্টা শুরু করেছিল। এমনকি বিএনপির দুর্বৃত্তরা ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা থেকে লাখ লাখ বস্তা সার লুট করেছিল। টাকা ভাগাভাগি নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ছাত্রদলের এক নেতা নিহত হন।’