প্রেমিকের বাড়িতে উঠার ঘোষণা দেওয়ায় খুন হন মরিয়ম

‘দুই বছর ধরে সুব্রত ও মরিয়মের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরপর বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রেমিক সুব্রতের বাড়িতে উঠবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মরিয়ম। আর এই কারণেই কলেজছাত্রী মরিয়মকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্রেমিক সুব্রত মণ্ডল। এ ঘটনায় সুব্রতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন।
গ্রেপ্তারকৃত সুব্রত (২৩) শ্যামনগরের ভুরুলিয়া ইউনিয়নের কাচড়াহাটি গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সুব্রতর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বল্লভপুর গ্রামের কলেজছাত্রী মরিয়ম খাতুনের (২১)। নিয়মিত দেখা হওয়া ছাড়াও তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মরিয়ম দুই মাস আগে থেকে প্রেমিক সুব্রতকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। কিন্তু সুব্রত রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রেমিকা মরিয়ম ঘোষণা দেন, তিনি তাঁর (সুব্রত) বাড়িতে গিয়ে উঠবেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সুব্রত। পরে তিনি মরিয়মকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। আটক সুব্রত এ বিষয়ে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মরিয়মকে সুব্রত মোবাইল ফোনে কৌশলে ডেকে নেন। পরে তাঁকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। গত শুক্রবার মরিয়মের লাশ পাওয়া যায় তাঁদের বাড়ির কাছে একটি বিলে ধানক্ষেতে।’
এ ঘটনায় মরিয়মের ভাই মোহাম্মদ আলী একটি মামলা করেছেন। সুব্রতকে আজ রোববার তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে তাঁর সহযোগীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিরুল ইসলাম ও শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা।