প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নারী পোশাকশ্রমিককে হত্যা, যুবক আটক
গাজীপুরে পোশাক কারখানা থেকে বাসায় ফেরার পথে ফয়সাল নামের এক যুবকের ছুরিকাঘাতে নারী শ্রমিক তাসলিমা আক্তার তমা নিহত হয়েছেন। ওই যুবককে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
গতকাল রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মহানগরীর বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার টায়ারের গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী শ্রমিক তাসলিমা আক্তার তমার (১৭) বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর থানাধীন দক্ষিণ নিয়ামতপুর আধানীর মোড় এলাকায়। আটক যুবক ফয়সালের (২৬) বাড়ি বাগেরহাট জেলা সদর থানার পাতিলাখালী এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় টিএম ফ্যাশন পোশাক কারখানার কাটিং সেকশনের সহকারী কাটার পদে চাকরি করতেন তাসলিমা। রোববার রাতে কারখানা ছুটি হওয়ার পর বাসায় ফিরছিলেন তিনি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে টায়ারের গলিতে পৌঁছলে তার পথরোধ করে ফয়সাল। একপর্যায়ে তাসলিমার পেটের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করে ওই যুবক। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাসলিমা। এ সময় দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ফয়সালকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত তাসলিমাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনিতে আহত ফয়সালকে আটক করে একই হাসপাতালে ভর্তি করে।
নিহত তাসলিমার কয়েকজন সহকর্মীর বরাত দিয়ে বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার জাহান বলেন, ‘একই কারখানায় চাকরি করতেন তাসলিমা ও ফয়সাল। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাসলিমাকে উত্ত্যক্ত করত ফয়সাল। এ ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হলে প্রায় মাসখানেক আগে চাকরিচ্যুত করা হয় ফয়সালকে। এর জের ধরে রোববার রাতে কারখানা থেকে বাসায় ফেরার পথে তাসলিমাকে ছুরিকাঘাত করে ফয়সাল। এতে নিহত হয় তাসলিমা। এ ঘটনায় ফয়সালকে আটক করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’