প্লাস্টিকের ভয়াবহতা বোঝাতে পায়ে হেঁটে ১৫ হাজার কিলোমিটার
প্লাস্টিকের ভয়াবহতা বোঝাতে পরিবেশ রক্ষার আহ্বান নিয়ে ১৫ হাজার কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতীয় যুবক রোহান আগারওয়াল (২০)। নিজ দেশের ২৭টি রাজ্য ভ্রমণ শেষে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের যুবক রোহান বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ঘুরে চাঁদপুরে আসেন।
জানা যায়, প্লাস্টিকের ভয়াবহতা নিয়ে সচেতন করতে বিশ্বের ১৫টি দেশে যেতে চান রোহান। ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট ভারতের উত্তরপ্রদেশ বারানসির গঙ্গার তীর থেকে হাঁটা শুরু হয় রোহানের। ৮১০ দিন আগে যাত্রা শুরু করে এখন পর্যন্ত অতিক্রম করেছেন প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার। এরমধ্যে ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি, চন্ডিগড়, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি, কর্নাটক, কেরালা ও গোয়া হয়ে মোট ২৭টি রাজ্য পরিভ্রমণ শেষে ৮ অক্টোবর ফেনীর বিলোনিয়া সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এই যুবক। এরপর পার্বত্য চট্টগ্রাম ঘুরে ১০ নভেম্বর চাঁদপুরে আসেন। পরে জেলা প্রশাসক, পৌর মেয়র ও চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রোহান। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিকের ভয়াবহতা বোঝাতে চাঁদপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন।
রোহান আগারওয়াল বলেন, ‘এই পৃথিবী শুধু মানুষের বসবাসের জন্য নয়—প্রাণি ও উদ্ভিদেরও। প্লাস্টিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে। প্লাস্টিক থেকে বাঁচতেই আমার এই যাত্রা। তাই ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছি। আমি ভারতের গভর্নমেন্ট সিকিম প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটির স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পরিবার থাকে নাগপুরে। বাংলাদেশের পর মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, চীন, হংকং, ম্যাকাও, মঙ্গোলিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার স্কুলকলেজসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে মানুষের সঙ্গে প্লাস্টিকের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেছি।’
চাঁদপুর আল-আমিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে কয়েকটি জেলা ঘুরে চাঁদপুরে আসেন রোহান। তিনি আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চমৎকারভাবে কথা বলেছেন। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছেন তিনি।’
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘২০ বছর বয়সে পরিবেশের জন্য কাজ করছেন রোহান। আমি মনে করি এটি অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা। বিষয়টি জানার পর তাঁর থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এই পথচলায় আশা করি সবাই সহযোগিতা করবে।’