বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন আজ, দেশ-বিদেশে নানা আয়োজন
সময়টা ১৯২০ সাল। পুরো ভারতবর্ষ তখন শাসন করছে ব্রিটিশ। ঠিক সেই সময় পূর্ব বাংলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে এক শিশু। যে শিশুটি একসময় পূর্ব বাংলার মানুষের মনে বুনে দেন স্বাধীনতার স্বপ্ন। শুধু স্বপ্নই দেখাননি, সংগ্রাম করে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা। বলছিলাম বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাবা শেখ লুৎফর রহমান এবং মা মোসাম্মৎ সাহারা খাতুন। চার বোন আর দুই ভাইয়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয়। ছোটবেলায় আদর করে বাবা-মা শেখ মুজিবকে ‘খোকা’ বলে ডাকতেন। কালে কালে সেই খোকাই মহত্তম জীবনবোধ, সততা, সাহস, দক্ষতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন-সার্বভৌম জাতি-রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। খোকার শৈশবকাল কাটে টুঙ্গিপাড়ায়।
শৈশব থেকেই শেখ মুজিব জমিদারদের অত্যাচার, শোষণ ও প্রজাপীড়ন দেখে চরমভাবে ব্যথিত হতেন। গ্রামের হিন্দু-মুসলমানদের সম্মিলিত সম্প্রীতির সামাজিক আবহে তিনি দীক্ষা পান অসাম্প্রদায়িক চেতনার। কিশোর বয়সেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন।
বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য শেখ মুজিব জীবনের ১৪টি বছর পাকিস্তানি কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে বন্দি থেকেছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু আত্মমর্যাদা ও বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কখনো মাথা নত করেননি, পরাভব মানেননি।
আজ মঙ্গলবার শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন উদযাপিত হবে। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করবে বাঙালি। সে জন্য বছরজুড়ে ঘোষণা করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষ’।
২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন করা হবে। দেশের বাইরেও উদযাপিত হবে ‘মুজিববর্ষ’-এর আয়োজন।
জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি বড় পরিসরে করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় এখন ছোট পরিসরে উদযাপন করা হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ছাড়া সারা বিশ্বে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুনভাবে ব্র্যান্ডিং করতে চাই।’
ইউনেস্কোর সদর দপ্তর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ৪০তম সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার ফলে ইউনেস্কোভুক্ত বিশ্বের ১৯৫টি দেশে উদযাপন করা হবে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী। ‘মুজিববর্ষ’-এর বিশ্বস্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। এর ফলে ইউনেস্কো বা এর ১৯৫ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ বা দ্বিপক্ষীয়ভাবে এই দিবসটি উদযাপন করতে পারবে বাংলাদেশ।
৭৭ মিশনে ২৬১ অনুষ্ঠান
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পাশাপাশি দেশে সারা বছর যেসব অনুষ্ঠান হবে, তাতে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভাষায় বঙ্গবন্ধুর নির্বাচিত ভাষণ প্রকাশ ও প্রচার, বঙ্গবন্ধুর বিদেশ সফরের ওপর প্রামাণ্যচিত্র তৈরি এবং সমুদ্র বিজয়ের ওপর একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৭৭টি দূতাবাসে ২৬১টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম ভারত সফরে গিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছিলেন বাংলায়। তাই ভারত ও জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে স্মৃতি জড়িয়ে আছে এমন শহর ছাড়াও বাংলাদেশিরা বসবাস করেন যেসব শহরে, সেসব শহরেও নানা আয়োজন করা হবে। এর মধ্যে দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, লন্ডন, সিডনি শহরে উৎসবের প্রস্তুতি রয়েছে।
এ ছাড়া দূতাবাসগুলো কী ধরনের অনুষ্ঠান করবে, সে ব্যাপারে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি, কলকাতা, লন্ডন, ভুটান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের বিশেষ ভূমিকার কারণে ওই স্থানগুলোতে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানগুলোতে সেই দেশগুলোর বিশিষ্ট নাগরিকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
ডক্টর অব লজ ডিগ্রি প্রদান
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি (মরণোত্তর) প্রদান করা হবে। সংসদে বিশেষ অধিবেশন বসবে। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বছরজুড়ে চলবে নানা আয়োজন।
আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি
‘মুজিববর্ষ’-এর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বেশ কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান সম্মতি জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজা জিগমে খেশার নামগেল ওয়াংচুক, সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ জায়েদ আল নাহিয়ান, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, ভারতের কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ প্রমুখ। এ ছাড়া কেনেডি পরিবারের কোনো সদস্য এবং জোসেফ স্টিগলিৎজ বা জেফরি স্যাকসের মতো ব্যক্তিদের বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ আশা করা হচ্ছে।
তবে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে রাষ্ট্রনায়কদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে গেলে বছরের অন্য কোনো একটি সময়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
যেভাবে শুরু হয় ‘মুজিববর্ষ’
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানের করাচির কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে দেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিন বিকেলে তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ থেকে বঙ্গবন্ধু নামার পর পূর্ণতা পেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি এক উৎসবমুখর পরিবেশে লাখো মানুষ বরণ করে নিয়েছিলের তাঁদের প্রিয় নেতাকে। ঐতিহাসিক সেই দিনকে বেছে নেওয়া হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকারের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার শুরু হিসেবে।
বিশ্বব্যাপী বছরটি নানা আয়োজনে বিভিন্ন দেশে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে দিনক্ষণে কিছুটা পরিবর্তন আসবে।
বিভিন্ন অনুষ্ঠান
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাপক জনসমাগম এড়িয়ে আজ মঙ্গলবার রাত ৮টায় বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণ অনুযায়ী আতশবাজির আয়োজন থাকবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের সব মসজিদে দোয়া মাহফিল আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে।
‘মুজিববর্ষে’ ঢাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান, জুলি ও কুরি পদকপ্রাপ্তি দিবস উদযাপন, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বড় আকারে একটি অনুষ্ঠান এবং ১৯৭১ সালে যেসব ভারতীয় যোদ্ধা বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে একটি প্রতিনিধিদলকে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজকের কর্মসূচি
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটি সারা দেশে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। অনুরূপ কর্মসূচি সারা দেশে অনুষ্ঠিত হবে।
টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচি
সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রতিনিধিদল টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন।
দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনা সভা
মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ৮টায় তেজগাঁও গির্জায়, সকাল ৯টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ (৩/৭-এ সেনপাড়া, পর্বতা, মিরপুর-১০)-এ খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।
এতিম ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাবার ও মিষ্টি বিতরণ
দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে আজিমপুর এতিমখানা প্রাঙ্গণে অসহায়, দুস্থ ও এতিমদের মাঝে খাবার, বস্ত্র ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহার্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
দুপুর ১টায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বনানী কড়াইল বস্তিতে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এতিম ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাবার ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া বাদ আসর রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ দুস্থ মানুষের মাঝে খাবার ও মিষ্টি বিতরণ করবে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।
আতশবাজি ও আলোকসজ্জা
রাত ৮টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মক্ষণ উপলক্ষে সারা দেশে একযোগে আতশবাজি প্রদর্শনী ও ফানুস উত্তোলন করা হবে। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৩২ ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমণ্ডি রবীন্দ্রসরোবর, হাতিরঝিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় আতশবাজি প্রদর্শনী হবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।