বাবুল-ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ ১১ মে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় বাবুল আক্তার ও ইলিয়াস হোসেনসহ চার জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য আগামী ১১ মে দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম এই দিন ধার্য করেন। মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ এবং তা প্রচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়।
সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। তবে, মামলাটির নথি অন্য একটি আদালতে রিভিশনের জন্য থাকায় আদালত আগামী ১১ মে নতুন দিন ধার্য করেছেন।’
এর আগে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বনজ কুমার বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে তদন্ত সংস্থা পিবিআই চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্ত করছে। তদন্তকালে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার প্রধান আসামি হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলহাজতে থাকা বাবুল ও বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াসসহ বাকি আসামিরা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছেন। তারা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন।’
এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস গত ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। এর আগেও মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইলিয়াস তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ইলিয়াসের ভিডিওতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয় ও বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়।’
এর আগে, মিতু হত্যা মামলায় হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয়জনের নামে মামলার আবেদন করেছিলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।
আবেদনে বনজ কুমার মজুমদার ছাড়া যে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়, তারা হলেন—পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আবেদনটি করেছিলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর তার সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে ইতোমধ্যে চার্জশিট দিয়েছে।