বাসচাপায় এসআই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার নেই
রাজধানীতে বাসচাপায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম (৩৩) নিহতের তিন দিনেও বাসটি শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে বাসটি শনাক্তে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় গত বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন গুলশান থানার এসআই কামরুল ইসলাম। একপর্যায়ে বিমানবন্দর এলাকার এপিবিএন মাঠের পাশে পৌঁছালে একটি বাসের চাপায় তিনিসহ ফাতিহা সুমি (৩৮) নামের এক নারী নিহত হন। নিহত দুজন একই মোটরসাইকেলে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ আজ শুক্রবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কোন বাস তাঁদের দুজনকে চাপা দিল, তা এখনো শনাক্ত করা যায়নি। কারণ, ঘটনাস্থলের পাশে কোনো সিসি ক্যামেরা ছিল না। দূরের একটি ক্যামেরায় ঘটনাস্থল অন্ধকার দেখা যাচ্ছে, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।’
মো. শহিদুল্লাহ আরো বলেন, ‘তবে আমরা থেমে নেই। বাসটি শনাক্ত করে আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। ভিন্ন ভিন্ন পথে আমরা আমাদের তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী। এসআইয়ের সঙ্গে একজন নারী ছিলেন। তিনিও এ ঘটনায় নিহত হন। আমরা শুনেছি, তারা দুজন উত্তরার দিকে যাচ্ছিলেন। ওই নারী বোধহয় কামরুল ইসলামের আত্মীয়।’
বাসচাপায় পুলিশের এসআই কামরুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সড়ক পরিবহণ আইনে মামলা দায়ের করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। এনটিভি অনলাইনকে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কায়কোবাদ বলেছিলেন, ‘থানার এসআই তাজউদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন। তবে এখনো বাসের চালক ও বাস শনাক্ত করা যায়নি।’
বৃহস্পতিবার গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেছিলেন, ‘কামরুল ইসলামের ওই এলাকায় একটি তদন্তের কাজ ছিল বলে আমি জানি।’
ওসি আরো বলেন, ‘কামরুলের আড়াই বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। তাঁর স্ত্রী পাগলপ্রায় হয়ে গেছে।’