সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আকতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুদকের অনুসন্ধান টিম কামরুল ইসলামের স্ত্রী বেগম তায়েবা ইসলাম, ডা. তানজীর ইসলাম ও মেয়ে সেগুপ্তা ইসলামের সন্দেহজনক সম্পদের তথ্য পাওয়ায় তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে।
দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, কামরুল ইসলামের স্ত্রী তায়েবা ইসলামের সন্দেহজনক সম্পদ থাকতে পারে। ছেলে ডা. তানজীর ইসলামের ১ কোটি ৪৬ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৫ টাকা এবং মেয়ে সেগুপ্তা ইসলামের ১ কোটি ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাদের নামে ও বেনামে আরও সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামি কামরুলের নামে ৬ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ১৯৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পাবলিক সার্ভেন্ট ছিলেন এবং তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদ অর্জন করেছেন। যার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
এছাড়া মো. কামরুল ইসলাম নিজ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ১৫টি হিসাবে মোট ২১ কোটি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৫ টাকা লেনদেন করেন। তিনি এই টাকা সন্দেহজনকভাবে হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর করেছেন। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত ১৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক।