বিএনপির জাতীয় সরকার হবে দেশবিরোধী সরকার : কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির জাতীয় সরকার হবে রাজাকার, আলবদর, জামায়াতসহ বাংলাদেশবিরোধী এবং বাংলাদেশের শত্রুদের সরকার—এমন মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তম, সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দল। এ দলটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে এবং ৫০-৬০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। এ আওয়ামী লীগকে বাদ নিয়ে জাতীয় সরকার করবে বিএনপি, সেটি কি জাতীয় সরকার হবে? এটি হবে রাজাকার, আলবদর, বিএনপি, জামায়াতসহ বাংলাদেশবিরোধী এবং বাংলাদেশের শত্রুদের সরকার।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আপনাদের এ দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দূরে ঠেলে দিয়েছে। জাতীয় সরকার, রাজাকার-আলবদরের সরকার, বিএনপি-জামায়াতের সরকার বাংলাদেশে হবে না। জনগণের ভোটে যারা সংসদে বেশি আসন পাবে, তারাই দেশে সরকার গঠন করবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পৃথিবীর কোনো দেশে জাতীয় সরকার হয় না। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জরুরি পরিস্থিতিতে এটি গঠিত হয়। কাজেই বাংলাদেশে কোনোদিন জাতীয় সরকার হবে না।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, জঙ্গি সৃষ্টি করেছিল, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছিল, মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল।’
‘এ ছাড়া ১৬ বছর ধরে তারা ক্ষমতার বাইরে। সব মিলিয়ে বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই এবং একদম জনবিচ্ছিন্ন। সেজন্য, বিএনপি নির্বাচন মানে না, নির্বাচনে আসে না। বারবার শুধু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে’, যোগ করেন কৃষিমন্ত্রী।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ দেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান আমাদের সংবিধানে নেই, পৃথিবীর কোনো সংবিধানেও নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, উদ্বোধক হিসেবে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি এবং বিশেষ বক্তা হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর এনায়েত হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ।