বিচারপতি নাজমুল আহাসানের প্রতি শ্রদ্ধায় বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আজ সকালে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে আজ রোববার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বিভাগে শুরুতেই অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘মাই লর্ড, রীতি অনুযায়ী কোনো সিটিং বিচারপতি মারা গেলে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একদিন আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়ে থাকে। গত শুক্রবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান মারা গেছেন। তাই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রাখা যেতে পারে।’
এ সময় আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ আদালতের কার্যক্রম বন্ধের অনুরোধ জানান। এ ছাড়া ভার্চুয়াল আদালতে সংযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজ আদালত বন্ধ রাখার জন্য অভিমত ব্যক্ত করেন।
একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার সকালে মারা যান বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান। ওই দিন সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানসহ চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ‘এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
এরপর গত ৯ জানুয়ারি বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। কিন্তু অসুস্থ থাকায় বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান আপিল বিভাগের বিচারপতির শপথ নিতে পারেননি।
এফ আর এম নাজমুল আহাসান ১৯৫৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিএ (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর এলএলবি পাস করে আইন পেশায় যোগ দেন।
২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল তিনি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন।