বিজ্ঞাপনমুক্ত বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যাটকো
বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিন ফিড) সম্প্রচার বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) এবং ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। সংগঠন দুটি বলেছে, আইন বাস্তবায়নে সরকারকে সবার সহায়তা করা উচিত।
অ্যাটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হক বাবু আজ শনিবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ক্লিন ফিড আইনটি ১৫ বছরের পুরানো আইন। যে কোনো সময় এটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। সরকার এখন এটি বাস্তবায়ন শুরু করেছে।’
ক্লিন ফিড এবং যথাযথ ডিজিটাইজেশনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে এই আইন সব অংশীজনের স্বার্থ নিশ্চিত করবে উল্লেখ করে অ্যাটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, আইনটি সব পক্ষের জন্য লাভজনক সমাধান রয়েছে, যদিও এতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। সুতরাং, আমাদের সেই সময় পর্যন্ত ধৈর্য দেখানো উচিৎ। তিনি আরও বলেন, ক্লিন ফিড আইন বাস্তবায়নের বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের আজকের বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত।
মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, সরকার বিদেশি টিভি চ্যানেলের ক্লিন ফিড প্রোগ্রাম প্রচার করা বন্ধ করেনি, বরং স্থানীয় অপারেটররা ক্লিন ফিড প্রোগ্রাম সম্প্রচার করতে না পারায় সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে।
তবে সব বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, যে সব অপারেটর এখানে বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রচার করে তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে সরকারের সঙ্গে বসতে পারেন।
কেবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (কোয়াব)-ঐক্য পরিষদের একটি দল আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে যথাযথ ক্লিন ফিড ও ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারের সঙ্গে বসতে চেয়েছিল বলে উল্লেখ করেন অ্যাটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট।
কোয়াবের বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, এই আন্দোলন কোনও ফলাফল আনবে না বরং আমাদের আইন মেনে চলা উচিৎ।