বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি আর ব্যবহার করা যাবে না : ফায়ার সার্ভিস

রাজধানীর মগবাজারে ওয়্যারলেস গেট এলাকায় যে ভবনটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেই ভবনটি আর ব্যবহার করা যাবে না এবং ভবনটি ভেঙে ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা হলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের ফলে ভবনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। আমরা মালিকপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভবনটি যদি মেরামত করার চেষ্টাও করা হয়, তাও আর ব্যবহার করা যাবে না। বিস্ফোরণে ভবনটির নিচতলায় অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। ওপরের দুটি ফ্লোরও নড়বড়ে হয়ে গেছে। যেকোনো সময় পুরো স্থাপনাটি ভেঙে পড়তে পারে।’
এর আগে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান। সে সময় সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এই ভবনে যেন কেউ প্রবেশ না করেন। পরবর্তীতে কোনো ধরনের বিপদের সম্মুখীন যাতে কেউ না হয়।’
জিল্লুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিস্ফোরণের কারণে আশপাশে যে ভবন ছিল, সেগুলোর কাঁচ ভেঙে পড়া বা দেয়ালে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আজ তদন্তের প্রথম দিন। কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত অগ্রসর হলে বলতে পারব। ঘটনাস্থল থেকে আমরা আলামত সংগ্রহ করছি। ভবন মালিক, রেস্টুরেন্ট মালিক ও ব্যবহারকারীদের বক্তব্য শুনব।’
তদন্ত কমিটির প্রধান আরও বলেন, ‘এর আগে নারায়ণগঞ্জে মসজিদে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল, সেটিও এখানকার সমপর্যায়ের উপাদান থেকে ঘটেছিল। নারায়ণগঞ্জ ও মগবাজারের ঘটনার আলামতের মিল রয়েছে। আমরা মগবাজারের ঘটনাটিও তেমন অনুমান করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। ঘটনাস্থল থেকে বিচ্ছিন্নভাবে তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করছি। এই তথ্যগুলো একত্রিত করে পর্যালোচনার মাধ্যমে আমরা একটি সিদ্ধান্তে যেত পারব।’