বিয়ের কথা বলে বন্ধুসহ প্রেমিকাকে ধর্ষণ, পরে হত্যা
অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে দুই বন্ধু। পরে মেয়েটিকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে আমবাগানে। এ ঘটনার ১৫ দিন পর হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার।
গত ২৩ মার্চ উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের আরিফপুর মাঠের একটি আমবাগান থেকে শামিমা আক্তার সীমা নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ বুধবার ভোরে ফরিদপুর সদর এলাকা থেকে বজলুর রহমান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উদঘাটিত হয় চাঞ্চল্যকর এ হত্যার রহস্য।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বজলুর রহমান বলেছেন, তার বন্ধু রাজা ইসলামের (২৪) সঙ্গে শামিমা আক্তার সীমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের কারণে তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক হয় এবং একপর্যায়ে সীমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর রাজাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন সীমা। গত ২৩ মার্চ বিয়ের কথা বলে সীমাকে ডেকে নেন রাজা। এরপর রাজা ও তার বন্ধু বজলুর রহমান মিলে সীমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে আমবাগানে ফেলে রাখেন।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারী জানান, উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের শামিমা আক্তার সীমার স্বামী তিন বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তার কিছুদিন পর বাজুবাঘা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রাজা ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সীমার।
গ্রেপ্তার হওয়া বজলুর রহমান (৪০) সীমা হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি। তিনি উপজেলার বারখাদিয়া গ্রামের বিচ্ছাদ আলীর ছেলে। সীমা বাঘা সদর এলাকায় এক বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, সীমা হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দুই নম্বর আসামি বজলুর রহমানকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।