বুলবুল পর্যবেক্ষণে প্রধানমন্ত্রী নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন : তথ্যমন্ত্রী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/11/10/hasan_mahmud.jpg)
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলা পর্যবেক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। দেশবাসীর কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী রাতে ঘুমাননি।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রী আজ রোববার শহীদ নূর হোসেন সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলার প্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে বারবার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ জন্য তিনি নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। আর যে বিএনপি আমাদের সরকারের প্রস্তুতিকে অপর্যাপ্ত বলছে, তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর যখন মানুষের লাশ পানিতে ভাসছে, তখন তিনি দিনে সাতটি শাড়ি বদল করেছেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি বলেছে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নাকি যথেষ্ট নয়। অথচ ব্যাপক ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ফলে আমাদের প্রাণ ও সম্পদ উভয়ই ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আমি তাদের বলব, নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখতে। কারণ, তাদের সময়ে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে পাঁচ লক্ষ প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিমানঘাঁটির অনেকগুলো বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শুধু অবহেলায়। নিরাপদ জায়গায় নোঙর না করায় জাহাজও উঠে এসেছিল রাস্তায়।’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রক্তধমনীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান। তিনি বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে দেশ ও মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, মেহনতি মানুষের জীবনের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। সে কারণেই শেখ হাসিনার অপর নাম গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর দেশ ও জাতির উন্নয়ন।
মন্ত্রী বলেন, নূর হোসেনের রক্ত বৃথা যায়নি। নূর হোসেনসহ সব শহীদের রক্তে আমাদের গণতন্ত্র আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। নব্বইয়ের ১০ নভেম্বর সেদিন শুধু নূর হোসেনই নয়, টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনাও।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি তছলিম আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরো বক্তব্য দেন নূরুল আমিন রুহুল এমপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, শহীদ নূর হোসেনের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।