বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ দুর্ঘটনা : তদন্ত প্রতিবেদন ১৭ আগস্ট দাখিলের নির্দেশ
রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহতের ঘটনায় এমভি ময়ূরের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ আগস্ট নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার এ দিন নির্ধারণ করে আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার এজাহার, এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) এসে পোঁছালে বিচারক তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে আজ সকালে সদরঘাটের নৌ-থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামছুল আলম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী এসআই মো. শামছুল আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘লঞ্চডুবির ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর শ্যামবাজার বরাবর ফরাশগঞ্জ ঘাটসংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ পাশে সোমবার সকাল ৯টা ১৩ মিনিটে মর্নিং বার্ড লঞ্চকে এমভি ময়ূর-২ লঞ্চটি দ্রুত বেপরোয়াভাবে ধাক্কা মারে। ধাক্কার ফলে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ঘটনাস্থলে দুমড়েমুচড়ে ভাঙে সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীসহ পানিতে ডুবে যায়।
এসআই মো. শামছুল এজাহারে আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় প্রায় ৮৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পাই। ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ডে ৬০ থেকে ৬৫ জন যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করে। আসামিরা লঞ্চটি ডুবিয়ে অনেক লোকের প্রাণহানি ঘটায়।’
মামলায় সাত আসামি হলেন এমভি ময়ূরের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ (৩৩), লঞ্চের দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার কর্মচারি মো. আবুল বাশার মোল্লা (৬৫), লঞ্চের তৃতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. জাকির হোসেন (৫৪), ইঞ্জিনচালক শিপন হালদার (৪৫), চালক শাকিল হোসেন (২৮), কর্মচারি সুকানি নাসির মৃধা (৪০) ও মো. হৃদয় (২৪)।
এ ঘটনার তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।