বৃষ্টির রিমঝিমে রাজধানীতে স্বস্তি, ঈদ ঘোরাঘুরিতে বাধা
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজছে রাজধানী। গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম গতকাল শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে কিছুটা কমলেও সকালে তা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা। ছিল সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির আভাস। বিকেলে রোদ ঝলমল আকাশ থাকলেও ৫টার দিকে তা মেঘে ছেয়ে যায়। আর সাড়ে ৫টার দিকে ঝরতে শুরু করে বৃষ্টি হয়ে। এতে ঈদের ঘোরাঘুরিতে বাধা পড়লেও স্বস্তি ফিরেছে বলে মনে করছেন রাজধানীবাসী।
আজ শনিবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলা হয়, দেশের আটটি বিভাগেই দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে সারা দেশে তাপমাত্রা কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ মিয়া জানিয়েছিলেন, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এতে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আবদুল হামিদ মিয়া আরও জানান, ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। আগামী দুই দিনে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হরে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
এদিকে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীতে শুরু হয় বৃষ্টির রিমঝিম। পরে ঝুম বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় রাস্তাঘাট, গাছপালা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হচ্ছিল বৃষ্টি। এতে ঈদ ঘোরাঘুরিতে বাধা পড়েছে। তবে, স্বস্তি লাগছে বলে জানান সড়কের পাশে বৃষ্টিতে আটকে পড়া অনেকে।
রেদওয়ান যাচ্ছিলেন বোনের বাড়ি। বৃষ্টিতে আটকা পড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আজিমপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি ছাউনিতে। তিনি বলেন, ‘হঠাৎই বৃষ্টি নেমেছে। একটু আগেও আকাশ রোদ ঝলমল ছিল। বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় বাধা পড়লেও ভালো লাগছে। শান্তির শীতলতা অনুভব করছি।’
রেদওয়ানের মতো আরও অনেকে ছিলেন সেখানে। ফারিয়া আক্তার বলেন, ‘ঈদের ঘোরাঘুরিতে বাধা পড়েছে। তবে, এতদিনের টানা গরম থেকে তো বেঁচেছি। এটাই ভালো লাগার বিষয়।’
সড়কে আজ তেমন যানবাহন নেই। ঢাকা যেন পুরোটাই ফাঁকা। বাইক, রিকশা, নিজস্ব বাহন নিয়ে দেখা যায় কিছু মানুষ। গাবতলীর দিকে যাচ্ছিলেন আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির প্রত্যাশা এখন সবার। ঈদের দিন বৃষ্টিতে ঘোরাঘুরিতে হয়তো কিছুটা বাধা পড়েছে। বিকেলেই যেহেতু মানুষ বাইরে বের হয় বেশি। তবে, স্বস্তির বৃষ্টি ঈদে নতুন এক মাত্রা এনে দিল।’