ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষ্যে আজ বুধবার সকালে নোয়াখালীতে তাঁর কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বিএনপির নেতাকর্মীরা। জিয়ারতের পর করা হয় দোয়া ও মাগফেরাত। এ সময় মওদুদ আহমদের স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের ১৬ মার্চ ৮১ বছর বয়সে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মওদুদ আহমেদ মারা যান। পরে তাঁকে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ বসুরহাটে পারিবারিক কবরাস্থানে বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা হয়।
বিএনপি এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় মরহুমের কবর জিয়ারতের পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টায় নোয়াখালী কবির হাট উপজেলায় হবে আলোচনা সভা। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি থাকবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বিএনপির ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। সাবেক এমপি ও অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ২৪ মে ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমেদ চতুর্থ।
পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের জামাতা মওদুদ আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাশ করে লন্ডনের লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জন করেন।
যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য মওদুদ আহমদকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী হাসনা মওদুদ। গত শনিবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে মওদুদ আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় এ দাবি করেন তিনি।
হাসনা মওদুদ সেদিন বলেন, ‘মওদুদ করোনায় মারা যাননি। তার অসুখ ধরা যায়নি। আমি শুনেছি, তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমাকেও হয়তো কেউ মেরে ফেলবে।’
হাসনা মওদুদ বলেন, ‘মওদুদ সাহেবের শূন্যস্থান আমি শূন্য হতে দেব না। আমি তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। নোয়াখালী–৫ আসনের গরিব মানুষের পাশে থাকব। আমি চেষ্টা করব, মওদুদ যেভাবে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে গেছেন, সে রকম করেই আমার এলাকায় সেবা করব।’