ভারতফেরত ১৪৭ জন ঝিনাইদহের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে
ভারত থেকে আসা ১৪৭ জন নারী-পুরুষও শিশুকে ঝিনাইদহের পৃথক দুটি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। অপর দুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেকটর (এনডিসি) এরফানুল হক চৌধুরী জানান, ভারত ফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের খাবারসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। উচ্চবিত্ত ৩৬ জনকে স্থানীয় এইড কমপ্লেক্সে এবং ১১১ জনকে পিটিআইয়ের আবাসিক হলে থাকতে দেওয়া হয়েছে। তারা কেউ করোনা রোগী নন। এরপরেও দুইটি মেডিকেল টিম সবসময় মনিটরিং করছেন তাদের ।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যারা আসছেন তাদের মধ্যে করোনার লক্ষণ আছে এমন ব্যক্তিদের যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, স্থান সংকুলান না হওয়ায় যশোর থেকে বেশ কিছু ভারতফেরত নারী-পুরুষ ও শিশুদের ঝিনাইদহের দুইটি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন রোগীকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা চলমান রাখা হয়েছে। কারণ তারা চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন।
কতজনকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে তার সঠিক হিসাব জানা নেই বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের এ কর্মকর্তা।
কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিরা জানান, চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন তারা। চলমান পরিস্থিতির মধ্যে হাইকমিশনের অনুমতি নিয়ে বেনাপোল দিয়ে দেশে ফেরত আসেন। এরপর সরাসরি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আনা হয়েছে তাদের।
এদিকে, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার দেওয়া তথ্যমতে, ৩ মে ২৫ জন এবং ৪ মে দেশে আসা ১১৮ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে।