ভালুকায় যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন
ভালুকায় বেস্টওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের নামে জমি জবরদখল ও ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে হেয় করার চেষ্টা করছে যুবলীগেরই আরেকটি গ্রুপ, এমন দাবি করে গতকাল সোমবার উপজেলা যুবলীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
গত রোববার দুপুরে জমি দখল ও ভাঙচুরের অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীদের জড়িয়ে কিছু লোক উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে। এরই প্রতিবাদে বিকেলে যুবলীগ কার্যালয়ে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ মোহাম্মদ নিপুন সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান খান রিপন, সাধারণ সম্পাদক এজাদুল হক পারুল, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বাচ্চু প্রমুখ।
এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার পাড়াগাঁও এলাকায় ২০ বছর আগে ২৬৬ বিঘা জমি কিনে বেস্টওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের নির্মাণকাজ শুরু করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ওই সময় থেকেই স্থানীয় কিছু লোক বেস্টওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রতিষ্ঠার বিরোধিতাসহ বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে।
সম্প্রতি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ মোহাম্মদ নিপুন ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর স্থানীয় একটি চক্র উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এজাদুল হক পারুলসহ কিছু যুবলীগ নেতাকর্মীর নামে পুনরায় বিভিন্ন অভিযোগ এনে তাদের রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা শুরু করে।
ইউনিয়ন যুবলীগনেতা পাড়াগাঁওয়ের নুরুল হক সিদ্দিকী ওরফে টিপু বেশ কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এজাদুল হক পারুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। তিনি পরে দুঃখ প্রকাশ করে অভিযোগটি প্রত্যাহারও করে নেন।
বেস্টওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাছে জমি বিক্রেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, আট-নয় বছর ধরে বেস্টওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের নতুন কোনো কাজ করতে দেখিনি। শুনেছি স্থানীয় একটি চক্র যুবলীগনেতা নিপুন ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পারুলসহ অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে। যা আদৌ সত্য নয়।
উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ মোহাম্মদ নিপুন বলেন, ‘বর্তমানে হবিরবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা কাজ করলেও নামধারী কিছু নেতাকর্মী নৌকার সঙ্গে বেঈমানি করে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে নির্বাচন করেছে। বর্তমানে ওই সব নেতাই প্রকৃত আওয়ামী লীগের কর্মীদের প্রতিনিয়ত হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছে।’