ভিক্ষার নামে অভিনব কায়দায় যৌন হয়রানি, বৃদ্ধ আটক
ভিক্ষুকের বেশে অভিনব কায়দায় রাস্তায় চলাচলকরী নারীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগে এনামুল হক বুলু (৬২) নামের এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, ভিক্ষার নামে নগরীর ব্যস্ততম এলাকা আরডিএ মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় বৃদ্ধ এনামুল হক বুলু নারীদের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিতেন। এ বিষয়টি সাইফুল ইসলাম দুলাল নামের এক যুবকের চোখে পড়ে। এরপর গোপনে একটি ভিডিও ধারণ করে তিনি রোববার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে পুলিশ বৃদ্ধের পরিচয় শনাক্তে মাঠে নামে। রাতেই অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, বৃদ্ধ বুলুকে আটক করার পর জানা গেছে তাঁর পারিবারিক অবস্থা স্বচ্ছল। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধীও নন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিনগর গ্রামে। তবে তিনি শাহ মখদুম কলেজের পেছনে শেখেরচক পাঁচানিমাঠ এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ভাড়া থাকেন। বিকৃত রুচির কারণে তিনি ভিক্ষার নামে রাস্তায় চলাচলকারী নারীদের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করতেন বলে পুলিশের ধারণা।
বুলুকে আটকের পর আজ সোমবার দুপুরে বোয়ালিয়া মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হয়। এ সময় মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, রাজশাহী নগরীর ব্যস্ততম এলাকা সাহেব বাজার, আরডিএ মার্কেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভিক্ষার নামে এই বৃদ্ধ নারীদের স্পশকার্তর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। তার এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি ভিডিওসহ বেশ কিছু ছবি রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, নারীরের শরীর স্পর্শ করে ওই বৃদ্ধ ভিক্ষা চাইছে। অনেকের স্পর্শকাতর স্থানেও হাত দিতে দেখা গেছে ভিডিওটিতে। ভিডিওটি পুলিশের নজরে এলে তাঁকে আটক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি আরো জানান, ফেসবুকে ওই বৃদ্ধের যৌন হয়রানির ভিডিও দেখে এক স্কুলছাত্রী থানায় এসে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। সেখানে সে বলেছে, ‘গত ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় কুমারপাড়া এলাকায় ওই বৃদ্ধ উঠে দাঁড়াতে সহযোগিতা চায়। এ সময় সহযোগিতা করতে গেলে ওই বৃদ্ধ তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন।