মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে আ.লীগও সারা দেশে সমাবেশ করবে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সারা দেশে মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সব শাখার উদ্যোগে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সমাবেশ, জনসংযোগের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ বিভাগের কর্মসূচি সমন্বয় করবেন।
ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ের সময় এসব কথা বলেন। এর আগে আজ দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকেও দেশের ছয় বিভাগীয় শহরে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম, ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল, ২৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা, ১ মার্চ রাজশাহী, ৩ মার্চ ঢাকা উত্তর এবং ৪ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে সমাবেশ করবে বিএনপি।
তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশের বিরাজমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিনষ্টের যেকোনো অপপ্রয়াস আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।
দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি বা ইস্যু নেই যে বিএনপিকে আন্দোলন করতে হবে- এমনটা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেকোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়। কিন্তু সমাবেশের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শক্ত হাতে তা দমন করা হবে।
বিএনপি দেশ ও জাতির কল্যাণ ভুলে নানান অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের পথকেই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে, তারা একদিকে অপপ্রচারে বিনিয়োগ করেছে অপরদিকে ধোয়া তুলসিপাতা সেজে ব্যাখ্যা দাবি করছে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি কোটি টাকা ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।
বিএনপিকে অপরাজনীতি পরিহার করে জনগণের জন্য রাজনীতি করারও আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই, তাই ষড়যন্ত্রের পথ ত্যাগ করে জনকল্যাণের রাজনীতি করুন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনে করেন, আল জাজিরার মিথ্যা অপপ্রচারে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না, জনগণ অপপ্রচারের বিপরীতে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির সুফল ভোগ করছে।
অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকার স্পষ্ট ও কঠোর অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি তাদের সহযোগীদের নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে এখন আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি আরো বলেন, অপকর্মকারী কেউ শেখ হাসিনার মানুষ হতে পারে না। তাঁর কাছে কারো প্রশ্রয় নেই।
এ দেশের রাজনীতিতে গত ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সততার প্রতীক বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজেকে কোনো সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি করেননি।