মহেশখালীতে ওসি প্রদীপসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ
কক্সবাজারে মহেশখালী উপজেলায় ২০১৭ সালে কথিত বন্দুকযুদ্ধে লবণচাষি আবদুস সাত্তার নিহতের ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তবে ওই ঘটনায় তিন বছর আগে পুলিশের দায়ের করা মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এই আদেশ দেন। নিহত আবদুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার গতকাল বুধবার মহেশখালী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হামিদা আক্তারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তিন বছর আগে পুলিশের করা মামলাটি সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার নিচে নয়- এমন একজন সিআইডি কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক।’
ঘটনার সময় প্রদীপ কুমার দাশ মহেশখালী থানার ওসি ছিলেন। এই মামলার আসামিদের মধ্যে প্রদীপ ছাড়াও আরো পাঁচজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। এরা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনিরুল ইসলাম, শাহেদুল ইসলাম ও আজিম উদ্দিন।
হামিদা আক্তারের দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন মহেশখালীর হোয়ানকের কথিত জলদস্যু ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস চৌধুরী (৫৬)। পুলিশের ছয় সদস্য ছাড়া বাকি ২৩ আসামি ফেরদৌস বাহিনীর সদস্য বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
আবদুস সাত্তার হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব মাঝেরপাড়ার মৃত নুরুচ্ছফার ছেলে। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় আবদুস সাত্তারকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করেন বাদী হামিদা আক্তার।
এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে মহেশখালী থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মামলা নেননি। ফলে বাদী তখন উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। তিনি হাইকোর্টে এ নিয়ে রিট করেন। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফআইআর’ হিসেবে গণ্য করতে আদেশ দেন বিচারক। সেই আদেশের আলোকে তিনি একই বছরের ১৭ জুলাই কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। কিন্তু পুলিশ আবেদন আমলে নেয়নি বলে জানান হামিদা আক্তার।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তখন দাবি করা হয়, নিহত আব্দুস সাত্তার অস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন। যদিও স্ত্রী হামিদা খাতুনের ভাষ্যমতে, সাত্তার লবণচাষি ছিলেন।