মামলা হওয়ায় শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সিআইডি সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেলেও পরে মামলা হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘তথ্যভিত্তিক নয়—এমন সংবাদ প্রকাশ করায় প্রথম আলোর সাংবাদিককে (শামসুজ্জামান) সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছিল। বিভিন্ন স্থানে মামলা হওয়ায় তাকে পরে আবার গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার দিনটি আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করি। সেই দিন তথ্যভিত্তিক নয়—এমন সংবাদ প্রকাশ করে একটি পত্রিকা। যেভাবে বাংলাদেশ এগিয়েছে, সেটাকে কটূক্তি করে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেজন্য পুলিশের একটি দল সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিলেও এ ঘটনায় সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলা হচ্ছে, কয়েকটি মামলা ইতোমধ্যে হয়েছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আদালত শামসুজ্জামানের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এদিন শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই এতে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) দিনগত রাত ১১টার দিকে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল মশিউর মালেক নামে এক ব্যক্তি। মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
তবে শামসুজ্জানের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানার মামলায় এ পর্যন্ত কোনো আবেদন জমা হয়নি। গতকাল বুধবার সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামে এক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।