মা-ছেলেকে অপহরণ মামলায় সিআইডির এএসপিসহ পাঁচজন কারাগারে
দিনাজপুরে মা ও ছেলেকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় সিআইডির এএসপিসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উঠানো হলে বিচারক শিশির কুমার বসু তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে আটক সিআইডির এএসপিসহ তিন পুলিশ সদস্য, মাইক্রোবাসচালক এবং দালাল পলাশকে আদালতে হাজির করা হয়। অপহৃত জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরে মা ও ছেলেকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের সময় হাতেনাতে তিন পুলিশ আটক হয়। তাঁদের মধ্যে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সারোয়ার কবীর রয়েছেন। অপর দুজন হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিনুর রহমান ও কনেস্টবল আহসানুল। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালককেও আটক করা হয়।
ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, গত সোমবার রাত আনুমানিক ৯টায় চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেডাই গ্রামে জহুরা বেগমের বাড়িতে ঢুকে জহুরা বেগম ও তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীরকে মারধর করা হয় এবং মাইক্রোবাসে করে মা ও ছেলেকে অপহরণ করা হয়।
জহুরা বেগমের বাড়ির লোকজন থানা ও র্যাব কার্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় নিখোঁজের বিষয়ে খোঁজ নেয়। কিন্তু কেউ কিছু জানাতে পারেনি। পরে অপহরণকারীরা মোবাইলে জহুরা বেগমের স্বামী লুৎফর রহমান ও দেবর রমজান আলীর কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
গতকাল মঙ্গলবার দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মুক্তিপণের টাকা দিতে যান লুৎফর রহমান ও রমজান আলী। সাদা পোশাকে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা বুঝতে পারে সাদা পোশাকে পুলিশ রয়েছে, ফলে তাঁরা মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের তাড়া করে ১০ মাইল নামক জায়গায় গিয়ে ধরে ফেলে। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশকে সহযোগিতা করেন। অভিযানে জেলা পুলিশ ও চিরিরবন্দর থানার পুলিশ অংশ নেয়।
ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, আটকের পর পুলিশ জানতে পারে তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে রংপুর রেঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সারোয়ার কবীর রয়েছেন। অপর দুজন হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিনুর রহমান ও কনেস্টবল আহসানুল।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পরে বিস্তারিত সাংবাদিকদের পরে জানান।