‘মিয়ানমারের পুঁতে রাখা মাইন’ বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা নিহত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো দুজন। আজ শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম বদি আলম। তিনি কক্সবাজারের উখিয়া ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। আহত ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ও মোহাম্মদ জুয়েল। তাঁরাও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তের ৩৯ নম্বর সীমানা পিলার এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন আরো দুজন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী শিবির ক্যাম্পের হাসপাতালে নিয়ে যান। অন্যদিকে নিহত বদি আলমের লাশ উদ্ধার করে বিজিবি ও পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, হতাহত রোহিঙ্গারা মাদকদ্রব্যসহ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চোরাচালান করতে গিয়ে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। রোহিঙ্গাদের আনাগোনা ঠেকাতে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার জানান, সীমান্তের ৩৯/৪০ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনাস্থল মিয়ানমার অংশে পড়েছে। হতাহতরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সদস্য। ঘটনার পর সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিন মাসে সীমান্তের বিভিন্ন অংশে স্থলমাইন বিস্ফোরণে মোট ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।