মেঘনায় যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার শহীদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নৌপুলিশ।
ট্রলার ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে শহীদ স্বীকার করেছেন—এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। এর আগে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলার জাফরনগর এলাকা থেকে জব্দ করে পুলিশ।
জানা যায়, স্থানীয় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীরা রোববার হাওরের নিকলী এলাকায় ট্রলারে করে ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে বিকেলে ভৈরবের মেঘনা নদীর লুন্দিয়া এলাকায় ডাকাতদের কবলে পড়ে। এ সময় ডাকাতরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ১৪টি মোবাইল ফোনসেট ও প্রায় ৭০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতিকালে ছাত্রলীগনেতারা শহীদ মেম্বারকে চিনতে পারেন। ভৈরব এসে তারা বিষয়টি ভৈরব নৌথানা পুলিশকে জানালে পুলিশ রাতেই ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রলারটি উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের জাফরনগর এলাকা থেকে জব্দ করে। পরে আজ দুপুরে অভিযান চালিয়ে শহীদ মেম্বারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর শহীদ ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে অপর চার সহযোগীর নাম প্রকাশ করেছেন। এরা হলেন মিজান, লিটন, মামুন ও গরু তাহের। এই ঘটনায় ভৈরব নৌথানায় ডাকাতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন ছাত্রলীগনেতা মাকসুদ হাসান মুন্না।
ছাত্রলীগনেতা মাকসুদ হাসান মুন্না বলেন, ‘গতকাল রোববার আমরা ১০-১২ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী হাওরের নিকলী এলাকায় একটি ট্রলারে করে ভ্রমণে যাই। ফেরার পথে বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে মেঘনা নদীতে ডাকাতের কবলে পড়ি। ডাকাতরা আমাদের ১৪টি মোবাইল ফোনসেট ও প্রায় ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের লাঠির আঘাতে এ সময় আমাদের দুই বন্ধু আহত হন। পরে আমরা নৌপুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করি। গ্রেপ্তারকৃত ইউপি সদস্য ডাকাত শহীদকে আমরা চিনতে পারি। সে ডাকাতির সময় আমাদের মারধর করে।’
ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রলারটি জব্দ করি। আজ সোমবার দুপুরে ইউপি সদস্য ডাকাত শহীদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ডাকাতির কথা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগনেতা মাকসুদ হাসান মুন্না থানায় পাঁচ ডাকাতসহ অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’