মেট্রোরেল প্রকল্পের শুরু যেভাবে

রাজধানীতে আগামীকাল বুধবার থেকে চালু হবে স্বপ্নের মেট্রোরেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করবেন, হবেন প্রথম যাত্রীও। আর উদ্বোধনী যাত্রায় ট্রেনটি চালাবেন একজন নারী চালক, যার নাম মরিয়ম আফিজা। এর মধ্য দিয়ে দেশের গণপরিবহণে যুক্ত হবে বৈদ্যুতিক যানবাহন, যা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে একেবারেই নতুন। উদ্বোধন উপলক্ষে এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সবধরনের প্রস্তুতি। যদিও যানজটমুক্ত চলাচলের পুরো সুযোগ পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও একবছর। তারপরও রাজধানীবাসীর মনে বইছে আনন্দ।
২০১২ সালে প্রকল্প হাতে নিয়ে দশ বছরের মাথায় চালু হচ্ছে এই মেট্রোরেল। যদিও প্রথম ধাপে আগামীকাল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের পর সাধারণ যাত্রীদের কাছে টিকেট বিক্রি শুরু হবে। প্রথম টিকেটটি কিনবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ যাত্রীরা পরের দিন (২৯ ডিসেম্বর) থেকে চড়তে পারবেন এই মেট্রোরেলে।
এ ছাড়া আগামী বছর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এবং ২০২৫ সালের মধ্যে চালু হবে মতিঝিল থেকে কমলাপুর সম্পূর্ণ মেট্রোরেল প্রকল্প।
ট্রেন চালানোর জন্য বিদ্যুৎ নেওয়া হবে জাতীয় গ্রিড থেকে। ঘণ্টায় দরকার হবে ১৩ দশমিক ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর জন্য উত্তরা, পল্লবী, তালতলা, সোনারগাঁও ও বাংলা একাডেমি এলাকায় পাঁচটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থাকবে।
এরমধ্যে এমআরটি লাইন-৬, এমআরটি লাইন-১, এমআরটি লাইন-৫ এ দুই রুট রয়েছে নর্দান ও সাউদার্ন, এমআরটি লাইন-২, এমআরটি লাইন-৪।
উত্তরা এলাকার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেল ডিপো নির্মাণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভৌত অবকাঠামো নির্মানের কাজ। এমআরটি লাইন-৬-এর আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার মেট্রোরেল পথের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ২৮ ডিসেম্বর।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালুর কথা রয়েছে। ডিএমটিসিএলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অংশের অগ্রগতি ৮৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রাথমিক পরিকল্পনায় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার নির্মাণের কথা ছিল। পরে সংশোধন করে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কিলোমিটার বাড়ানো হয়।
এমআরটি লাইন-৬-এর আওতায় এই অংশের কাজ শুরু করতে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সরকার। শুরুতে মূল প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা।