মেহেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা
যৌতুক না দেওয়ায় মেহেরপুর সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছেন স্বামী।
নিহত গৃহবধূর নাম রুবিনা খাতুন। তাঁর স্বামী মিলন হোসেনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করার কথা জানিয়েছে।
রুবিনার নানি হালিমা খাতুন ও খালা রিজিয়া পারভিন জানান, তিন বছর আগে মেহেরপুর সদর উপজেলার টেংগারমাঠ গ্রামের রুবিনার সঙ্গে একই উপজেলার উজলপুর গ্রামের মিলন হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মিলনকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। মিলন ওয়েভ এনজিওর মাঠকর্মী হিসেবে গাংনী উপজেলার বামুন্দীতে কর্মরত ছিলেন। ছয় মাস স্ত্রীকে নিয়ে মিলন সেখানেই বসবাস করতেন। সর্বশেষ এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মিলন মাঝেমধ্যেই রুবিনার ওপর নির্যাতন করতেন। পরিবারে পক্ষে যৌতুকের ওই টাকা দেওয়া সম্ভব না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ ভোরে তাঁরা রুবিনার মৃত্যুর সংবাদ পান।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাবিবুর রহমান জানান, সকাল ৬টার দিকে একজন দগ্ধ নারীকে নিয়ে হাসপাতালে এলে তিনি মৃত অবস্থায় তাঁকে পান। এটা জানানো হলে পাশে থাকা একজন পুরুষ হাসপাতাল থেকে সটকে পড়ে পালিয়ে যান।
চিকিৎসক জানান, অগ্নিদগ্ধ নারীর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে অথবা গরম পানি ঢেলে মেরে ফেলা হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম জানান, নিহত নারীর পুরো শরীর ঝলসে গেছে। তবে কিভাবে কেন পুড়িয়ে হত্যা করা হলো তা তদন্তে এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যাবে। নিহতের পলাতক স্বামী মিলনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বেশ কিছু স্থানে অভিযান চালিয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।