মেয়ের হত্যাকাণ্ডের ‘বিচার আল্লাহ’র কাছে দিলাম’, বললেন প্রীতির বাবা
রাজধানীতে দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সামিয়া আফরান প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন বলেছেন, ‘আমি আল্লাহ’র কাছে বিচার দিলাম। আমার মেয়েকে খুন করার বিচার তিনি করবেন। আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কেউ নেই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ের হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এনটিভি অনলাইনের কাছে জামাল উদ্দিন এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন।
জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, টাকা-পয়সাও নেই। মেয়ের বিচার চেয়ে মামলা করলে, তা চালানোর মতো টাকাও আমার কাছে নেই। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। ছোট একটা চাকরি করি আমি। বেতনও বেশি পাই না।’
জামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি মিরপুর-২-এ একটি কোম্পানির ফ্যাক্টরির প্রোডাকশনে চাকরি করি। কম আয় দিয়ে মেয়ে প্রীতি, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে পশ্চিম শান্তিবাগের একটি বাসায় ভাড়ায় থাকি। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমার স্ত্রী প্রায় পাগল হয়ে গেছে। আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মাইক্রোবাসে করে বাসায় ফেরার পথে শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে হেলমেট পরা এক দুর্বৃত্ত তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে জাহিদুল ও তাঁর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশ দিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থী প্রীতিও। দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে তিনিও বিদ্ধ হন। পরে তিন জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ গাড়িচালক মুন্না বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।