মোংলায় ভেঙেছে কাঁচা ঘর, প্লাবিত চিংড়ি ঘের

ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে বাগেরহাটের মোংলায় জলোচ্ছ্বাসে ৫১০টি কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল বুধবারের এই জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার চিলা, চাঁদপাই ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় ৭০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে গতকাল এসব পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার। এর আগে গতকাল ত্রাণ সহায়তা করেন স্থানীয় সাংসদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। তিনি আজ সকালেও এসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং সহায়তা দিয়েছেন।
এদিকে, জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে উপজেলার ৬৮৫টি ঘেরের চিংড়ি মাছ। এতে চাষিদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের দুবলা, বলেশ্বর ও কচিখালীতে তিনটি হরিণ মারা গেছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।

দুবলা, কটকা, কচিখালী, কোকিলমনি, চান্দেশ্বর, শ্যালাসহ বনবিভাগের বিভিন্ন অফিসের কাঁচা ঘর, জেটি, রাস্তা ও মিষ্টি পানির পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বনবিভাগের পক্ষ থেকে চারটি তদন্ত দলও গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া, জলোচ্ছ্বাসে মোংলায় রাস্তাঘাট ও বেড়িবাঁধেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।