ময়মনসিংহ মেডিকেলের করোনা ইউনিটের মেঝেও খালি নেই
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রসহ (আইসিইউ) এই করোনা ইউনিটে ২৩০ শয্যা থাকলেও ভর্তি রয়েছে দ্বিগুণের বেশি সংখ্যক রোগী। বর্তমানে মেঝেতেও রোগী রাখার মতো জায়গা নেই। আর তাই হাসপাতালের ফটকে করোনা ইউনিট ও আইসিইউতে শয্যা খালি নেই বলে ব্যানার টানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্যে, জনবল সংকটের কারণে রোগীদের সুচিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। করোনা ইউনিটে ভর্তি রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগের আইসিইউ ও অক্সিজেন চাহিদা থাকলেও এর ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। কারণ হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের চাপ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর আগে গত ৩০ জুলাই হঠাৎ করেই অক্সিজেনের চাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। আজও এর উন্নতি হয়নি। তাই অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে রোগীরা।
এরই মধ্যে মমেক হাসপাতালের ওপর রোগীর চাপ কমাতে করোনার চিকিৎসার জন্য উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতের হিসেবে ৫২৫ জন রোগী ভর্তি আছে। বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক-নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতির চাহিদার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগ থেকেও রোগীরা এখানে ভর্তির জন্য ছুটে আসছেন। ফলে হাসপাতালের ওপর অস্বাভাবিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সুনিশ্চিত করা দুরূহ হয়ে পড়ছে। এজন্য কোভিড সুচিকিৎসার জন্য উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে তাদের মমেক হাসপাতালে পাঠাতে পারেন বলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলা জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ ছাড়াও গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের একাংশের করোনা আক্রান্ত রোগীরা মমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।