‘যুক্তরাজ্যের তৈরি ভ্যাকসিন বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন আজ বুধবার বলেছেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনার ভ্যাকসিনটি তৈরি হলে এবং ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলে এটি বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে।
তবে বাংলাদেশে ব্রিটিশ এ ভ্যাকসিনের কোনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে না বলেও জানান চ্যাটারটন ডিকসন। সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং দ্রুত বিতরণের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইতোমধ্যে এ ভ্যাকসিনের লাখ লাখ ডোজ প্রস্তুত করতে শুরু করেছে।
স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ১০০ কোটি ডোজ সরবরাহের জন্য তারা ভারতের একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে।
সব দেশে ভ্যাকসিনের সমান প্রাপ্যতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার আরো বলেন, যুক্তরাজ্য জলবায়ু সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক আরো গভীর করার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।
কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন-ডিক্যাবের এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা বলেন হাইকমিশনার ডিকসন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ডিক্যাবের সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মহাসচিব তৌহিদুর রহমান।
মিয়ানমারের রাখাইনের পরিস্থিতি খুব বেশি উৎসাহজনক নয় উল্লেখ করে ডিকসন বলেন, তারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান ব্যবস্থাকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছেন।
ডিকসন বলেন, মিয়ানমার আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) চাপের মুখে থাকবে।
এটি বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারত্ব জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি।’
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিয়ে হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা আমাদের সাধ্যমতো কাজ করছি।’
নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের আস্থা বাড়াতে সেখানে তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেন এ কূটনীতিক।
জোর করে বাস্তুচ্যুত করা মিয়ানমারের ১১ লাখের বেশি নাগরিককে অস্থায়ী আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু তারা এখন মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় না কারণ মিয়ানমার সরকারের ওপর তাদের বিশ্বাস নেই।
২০১৮ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯ সালের আগস্টে প্রত্যাবাসনের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।