রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালবাহী জাহাজ মোংলায়
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/09/05/monlaa.jpg)
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে সরাসরি মোংলা বন্দর জেটিতে এসে ভিড়েছে এম.ভি ইউনিউইসডম। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এ জাহাজটি বন্দর জেটিতে ভিড়ে। রাত ১০টার পর থেকে এ জাহাজটি থেকে মালামাল খালাসের কাজ শুরু হবে। খালাসের সাথে সাথেই তা সড়কপথে যাবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব মুন্সী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও বিদেশি জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ম্যাক শিপিংয়ের খুলনার ম্যানেজার আবুল হাশেম শামীম জানান, সরাসরি রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল্যবান বৈদ্যুতিক মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ এম.ভি ইউনিউইসডম সোমবার সন্ধ্যায় মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় চালান। এ চালানে রয়েছে ১৪২১ মেট্রিক টনের ২৮০ প্যাকেজ মেশিনারি পণ্য।
সোমবার রাত থেকে শুরু করে এ পণ্য খালাসে সময় লাগবে ৪ দিন বলে জানিয়েছেন ম্যাক শিপিংয়ের ম্যানেজার আবুল হাশেম শামীম। তিনি বলেন, এর আগে গত ১লা আগস্ট এম.ভি কামিল্লা ও ৫ আগস্ট এম.ভি ড্রাগনবল রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে এ বন্দরে আসে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের বিদ্যমান অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার কারণেই দেশের বেশির ভাগ মেগাপ্রকল্পের মালামাল এ বন্দর দিয়েই আমদানি ও পরিবহণ হচ্ছে। এতে বন্দর ব্যবহারকারীদের যেমনি অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে, তেমনি নিরাপদে দ্রুত স্বল্পসময়ে মালামাল প্রকল্প এলাকায় নিতে পারছেন। পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকার সাথে দূরত্ব কমে যাওয়ার ফলে সকল ব্যবসায়ীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আগ্রহ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আসা একটি জাহাজ ভিড়েছে এ বন্দরে। এছাড়া রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ও বঙ্গবন্ধু রেলসেতুসহ দেশের বিভিন্নস্থানের সর্ববৃহৎ মেগাপ্রকল্পের সকল মালামালই আসছে এ বন্দর দিয়ে। আর এটি সম্ভব হচ্ছে সম্প্রতি আউটারবার ড্রেজিং সম্পন্নের কারণে। আর চলমান ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্প সম্পন্ন হলে এর চেয়েও বড় বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে এ বন্দরে। বন্দরের বিদ্যমান এ সুবিধা ও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এ বন্দরের ওপর চাপ বাড়তে থাকায়, বাড়ানো হচ্ছে বন্দরের সক্ষমতাও।