রায়হান হত্যা : দুদফা রিমান্ড শেষে কনস্টেবল হারুন কারাগারে
সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিন আহমদ হত্যা মামলায় কনস্টেবল হারুনুর রশিদকে দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার বিকেলে কনস্টেবল হারুনকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সিলেট অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২৩ অক্টোবর কনস্টেবল হারুনুর রশিদ গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে ২৯ অক্টোবর তাঁকে আবার তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার নেহারীপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান উদ্দিন আহমদকে (৩৩) গত ১০ অক্টোবর রাতে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের তদন্তেই বেরিয়ে এসেছে। পরের দিন ১১ অক্টোবর সকালে তাঁর লাশ পায় পরিবার। পরে ওই দিন রাতে নিহত রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। স্বজনদের অভিযোগ, ১০ হাজার টাকা না পেয়ে রায়হানকে পুলিশ হেফাজতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর ১২ অক্টোবর ওই ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এসআই টিটু চন্দ্র দাস, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ ও তৌহিদ মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া প্রত্যাহার করা হয় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে। এসআই আকবর এখন পলাতক। পরে ২১ অক্টোবর মামলার আলামত নষ্টের অভিযোগে এসআই হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।