রূপপুর বালিশকাণ্ড : আরো ৭ প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ

নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকাণ্ডসহ অন্যান্য দুর্নীতি অনুসন্ধানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের আরো সাত প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান দল জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
এখন পর্যন্ত পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশল মো. শফিকুল ইসলাম ও সুমন কুমার নন্দী হাজির হয়েছেন।
আরো যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁরা হলেন রাজশাহী গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম জিল্লুর রহমান, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহমেদ সাজ্জাদ খান, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন উদ্দিন ও মো. জাহিদুল করিম।
৬ নভেম্বর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে ওএসডি) মাসুদুল আলমসহ সাত প্রকৌশলীকে এ-সংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি মাসুদুল আলম।
গত ৩ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবরসহ মোট ৩৩ প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দেয় দুদক।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকাণ্ডসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের বিষয় গত ১৭ অক্টোবর দুদক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে। অনুসন্ধান দলের অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান ও উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।
রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মাণাধীন গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও ভবনে উত্তোলন কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। গত ১৯ মে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
দুর্নীতির নমুনা তুলে ধরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ছয় হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে বালিশের দাম পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা, আর আর সেই বালিশ ফ্ল্যাটে ওঠানোর খরচ ৭৬০ টাকা করে দেখানো হয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুই কমিটির তদন্তেই ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের কথা উঠে আসে। হাইকোর্টের নির্দেশে গত জুলাই মাসে আদালতে জমা দেওয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্নীতির জন্য ৩৪ প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়।