রূপপুর বালিশকাণ্ড, ৩৩ প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদে ডেকেছে দুদক

নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশ কাণ্ডসহ অন্যান্য দুর্নীতিতে ৩৩ প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক নোটিশে এসব প্রকৌশলীকে হাজির হতে বলা হয়।
নোটিশে কমিশনের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আগামী ৬, ৭, ১১, ১২ ও ১৩ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলেছেন।
মূলত প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান ও অন্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আলোচিত রূপপুরের গ্রিন সিটি আবাসন প্রকল্পে অনিয়মের ঘটনায় ৩৪ জনকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এরমধ্যে চারজন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের। বাকি ৩০ জন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
এই ঘটনায় যুক্ত গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৬ জনকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পের ২০ ও ১৬তলা ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের জন্য অস্বাভাবিক মূল্যে আসবাবপত্র কেনা ও তা ভবনে উঠানোর খরচ দেখানোর ঘটনা ঘটে। গত ১৬ মে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলা ১১টি ও ১৬তলা আটটি ভবন হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০তলা আটটি ও ১৬তলা একটি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য একটি বৈদ্যুতিক চুলার দাম ধরা হয়েছে সাত হাজার ৭৪৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৬৫০ টাকা, একটি বালিশের দাম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ৭৩০ টাকা। একটি বৈদ্যুতিক কেটলির দাম পাঁচ হাজার ৩১৩ টাকা যা তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে দুই হাজার ৯৪৫ টাকা। একটি টিভির দাম ধরা হয়েছে ৮৬ হাজার ৯৭০ টাকা তা ভবনে তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে সাত হাজার ৬৩৮ টাকা, এই টিভি রাখার কেবিনেটের দাম ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৩৭৮ টাকা। বিভিন্ন আসবাব কেনা ও উঠানোর ক্ষেত্রে দুর্নীতির চিত্র ফুটে উঠলেও এটি ‘বালিশকাণ্ড’ হিসেবে পরিচিতি পায়।