লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা, গ্রেপ্তার ১৩

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সারা দেশ থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিভিন্ন থানায় মোট ২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পুলিশের সব বিভাগকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা আমাদের দেশের নাগরিকদের প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশে নিয়েছে, যাদের কারণে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড তাদের একজনকেও ছাড় দেওয়া হবে না। তন্নতন্ন করে খুঁজে বের করে এই চক্রের প্রত্যেক সদস্যকে আইনি প্রক্রিয়ায় কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে কোনো বাংলাদেশিকে এভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে, তাঁর জীবন নিয়ে খেলার দুঃসাহস কোনো মানুষ দেখাতে না পারে। দেশে ও বিদেশে যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেনো, এদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করা হবে।
লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। গত ১ জুন পুলিশের সব ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইজিপি। ওই বৈঠকে আইজিপি পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যেভাবে আমাদের দেশের মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের দেশের মানুষকে এভাবে অসহায়ভাবে মরতে হবে, সেই অবস্থানে এখন বাংলাদেশ নেই। স্বজনদের যারা ভাই-বোন কিংবা পিতা-মাতা হারা করেছে তাদের কোনো ক্ষমা নেই। নেওয়া হবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা। স্বজনদের কান্নার দাগ শুকানোর আগেই, এই অপরাধী চক্রকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পর আমি দ্বিতীয়বার আপনাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব, এর আগে নয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপির কঠোর নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব, ডিএমপি, সিআইডি, পিবিআইসহ বাংলাদেশ পুলিশের মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সব ইউনিট একযোগে অভিযানে নামে। এরই মধ্যে আজ পর্যন্ত মোট ২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। সংশ্লিষ্ট অন্যদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ প্রত্যেক মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের এই অভিযান চলমান থাকবে।