লঞ্চে শারমিনকে স্বামীই হত্যা করেছে, দাবি বাবার
বরিশালগামী লঞ্চের লস্কর কেবিন থেকে শারমিন আক্তার নামের যে তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাকে তার স্বামী মাসুদই হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন বাবা এনায়েত হোসেন। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার তিনি বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন।
শারমিনের বাবা এনায়েত হোসেন বলেন, ‘টিভি দেখে জানতে পারি আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তারপর বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জের উত্তর রফিয়াদী থেকে এসে আমার মেয়েকে শনাক্ত করি।’
এনায়েত হোসেন আরও বলেন, ‘এক বছর আগে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পশ্চিম গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ হাওলাদারের সঙ্গে বিয়ে হয় আমার মেয়ে শারমিন আক্তারের। এর আগে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করা হয়। এ মামলা নিষ্পত্তির জন্য উভয় পরিবারের সম্মতিতে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর তাদের বিয়ে হয়। এরপর শারমিনকে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে নেওয়া হয়। বিভিন্ন সময় শারমিনকে নির্যাতনের খবর শুনেছি এবং তারা মাঝে মধ্যেই আলাদা থাকত বলেও শুনেছি।’
শারমিনের বাবা আরও বলেন, ‘শারমিন ১২ বছর ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়ায় থেকে গার্মেন্টেসে চাকরি করত। বিয়ের আগে আমাদের সহযোগিতা করলেও পরে কোনো খোঁজখবর রাখত না। এমনকি তারা যে লঞ্চে বরিশালে আসতেছে সেটাও আমরা জানতাম না।’
হত্যাকারী মাসুদের ফাঁসির দাবি করেছেন এনায়েত হোসেন।
শারমিনের চাচাতো ভাই আরিফুর রহমান বলেন, ‘বিকেল ৩টায় টিভিতে খবর দেখে শারমিনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত হই। পরে লঞ্চে এসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখি। ফুটেজে দেখা যায় শারমিনের সঙ্গে স্বামী মাসুদের লঞ্চে প্রবেশ করছে এবং সকালে মাসুদের একা বের হয়ে যাচ্ছে। ও আমার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।’
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমূল করিম বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের ঘটনায় শারমিনের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত করবে নৌপুলিশ। আর আমরাও ছায়া তদন্ত করব।’
বরিশাল নৌ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান বলেন, ‘আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।’