শরীয়তপুরে আইসোলেশনে থাকা যুবকের মৃত্যু
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি হওয়া ৩৪ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই যুবক নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে শ্রমিকের কাজ করতেন।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও কাশি থাকায় ওই যুবককে গতকাল সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গত ১৯ মার্চ কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরীক্ষায় তাঁর যক্ষ্মা রোগ ধরা পড়ায় তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে ২৩ মার্চ তিনি সদর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে যান।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনির আহমেদ খান বলেন, ওই যুবক নড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল তাঁর । শ্বাসকষ্ট থাকায় তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় তিনি মারা যান।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হবে। আইইডিসিআর থেকে ফলাফল পেতে দুদিন সময় লাগতে পারে। তাঁর পরিবার যে জায়গায় দাফন করতে চায়, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সেখানেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরা লাশ দাফন করে আসবেন।
এদিকে, ওই ব্যক্তির আশপাশের পাঁচটি পরিবারকে লকডাউন করেছে নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ওই যুবক নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি একজন শ্রমিক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতি চিন্তা করে তাঁর বাসার আশপাশের পাঁচটি পরিবারকে (২৩ সদস্য) লকডাউন করা হয়েছে।