শরীয়তপুরে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকার শ্যামপুর সেনানীবাস এলাকা থেকে তিনজন ও জাজিরা উপজেলার মঙ্গল মাঝিরঘাট এলাকা থেকে একজনকে আটক করা হয়।
এদিকে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আজ রোববার দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে কলেজ-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পরিবার ও বিঝারী এলাকাবাসী। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের বেলায়েত হোসেন শৃঙ্খল মোল্লা (২৫), মুরাদ মোল্লা (২২), সদর উপজেলার দাত্রা গ্রামের হৃদয় সরদার (২৫) ও আরিফ সরদার (২৩)।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানায়, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলার পর চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনীর আহম্মেদ খান বলেন, ‘ওই ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট সম্পূর্ণ হলে বলা যাবে তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শরীয়তপুরের একটি কলেজে সভায় যোগ দেন ওই কলেজছাত্রী। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সভা শেষে বাড়ি ফেরার জন্য অটোরিকশার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই কলেজছাত্রী। অটোরিকশা না পেয়ে হেঁটে রওনা দেন। তিন কান্দিগাঁও এলাকায় পৌঁছালে তাঁকে তুলে নিয়ে যান ওই এলাকার শৃঙ্খল মোল্লা। পরে নিপু খার মাছের ঘেরে আটকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এরপর শৃঙ্খলের তিন বন্ধু হৃদয় শিকদার, মুরাদ মোল্লা ও আরিফ সরদারও তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এরপর তাকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।