শিবচরে নদী ভাঙন বাড়ছে, আশ্রয়কেন্দ্রে অসহায় মানুষ
পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় চরাঞ্চলের তিন ইউনিয়নসহ সাতটি ইউনিয়নে নদী ভাঙনের ব্যাপকতা বেড়েছে। তিন শতাধিক ঘরবাড়ি কোনোমতে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিস্তির্ণ জনপদসহ আক্রান্ত হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ সড়ক ব্যবস্থাও। ভয়াবহ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে একাধিক স্কুল ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক ও বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
এদিকে চরাঞ্চলের চারটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। নদীভাঙন প্রতিরোধে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তাঁর পক্ষ থেকে ত্রাণ তৎপরতাও শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে দ্বিতীয় দফায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিবচরের চরাঞ্চলের চরজানাজাত, কাঠালবাড়ি, বন্দরখোলায় ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীতে বিলীন হয়েছে চরজানাজাতের একটি মাদ্রাসা ভবন। তিন ইউনিয়নের অন্তত তিন শতাধিক ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন, একটি বাজারসহ বিস্তির্ণ জনপদ। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে চরের কয়েক হাজার পরিবার। বন্যাকবলিত হয়ে বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে আক্রান্ত হয়েছে চার ইউনিয়ন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নদী ভাঙন প্রতিরোধে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ ও খাবার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’