শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না আসলে গণতন্ত্র উদ্ধার হতো না : নাছিম
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে না আসলে গণতন্ত্র উদ্ধার হতো না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম। আজ বুধবার (১৭ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সভায় বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য। শেখ হাসিনা বলেছিলেন—আপনাদের অধিকার আদায়ে আমি আমার জীবনকে উৎসর্গ করব। বর্তমানে আওয়ামী লীগ তার নেতৃত্বে দ্বীপ্ত পায়ে এগিয়ে চলছে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা তোমাকে অভিবাদন। আমরা গভীরভাবে তোমাকে সম্মান জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই। শেখ হাসিনা যদি না আসতেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না। জিয়া, এরশাদ গংদের হাত থেকে গণতন্ত্র উদ্ধার হতো না।’ তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করেছে। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের বিপক্ষে কারা কাজ করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে, তাদেরকে চেনা আছে।’
বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ‘তৃণমূলের নেতাকর্মীরা পাশে থাকার কারণে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। তাদেরকে আমরা জানি, তাদেরকে আমরা চিনি। যারা জাতির পিতাকে হত্যার মদদ দিয়েছিল, আমরা তাদেরকে ভয় পাই না।’
স্যাংশন জারির বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আসুক স্যাংশন, আমরা স্যাংশনে ভয় পাই না।’
ড. ইউনূস শ্রমিকের অধিকার না দিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করেছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “আমরা দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করে উন্নয়ন-অগ্রগতি, ল’, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব; এটা আজ আমাদের প্রতিজ্ঞা।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে অন্যন্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সুজিত রায় নন্দি; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপপ্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা প্রমুখ।