সরকার বুঝেছে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না : শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বর্তমানে দেশে যে আলামত ও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে এতে এক মুহূর্ত ভাবার উপায় নেই যে সরকার টিকবে। সরকার যে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না সে আলামত তারা বুঝতে পেরেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক আলোচনা সভায় শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দুদু বলেন, ‘ফয়সালা ১০ তারিখে হতে পারে আগেও হতে পারে। গণঅভ্যুত্থান যে হবে এটা নিশ্চিত থাকেন। বর্তমান যে আলামত ও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, এতে এক মুহূর্ত ভাবার উপায় নেই এ সরকার টিকবে।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন একটা শাসন ব্যবস্থা দেখছি যা গত ৫১ বছরে দেখিনি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, আদর্শহীন রাজনীতিবীদ এদের যে দাপট এ এক অভাবনীয় ঘটনা। সরকার আশ্রিত কিছু সাংবাদিকরা সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যা কে সত্য বানাচ্ছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, নির্বাচন জাতীয় সরকারের অধীনেই হোক আর নির্দলীয় সরকারের অধীনে হোক। যদি সুষ্ঠু হয় গোপালগঞ্জ থেকেও তারেক রহমান জিতবে।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনে যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চাকরিচ্যুত হবে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে তাঁদের শুধু চাকরি ফেরত দেওয়া হবে না সঙ্গে যথাযথ ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। আর যারা আমাদের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে নির্যাতন করছে মামলা দিচ্ছে, জেলখানায় নিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘একটা বিষয় ফয়সালা হয়েছে বিএনপির কর্মীরা এখন আর ভয় পায় না। গত ছয়টা সমাবেশে তা প্রমাণিত হয়েছে। আগামীকাল সিলেটের সমাবেশে জনসমুদ্র হবে।’
শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, ‘ঢাকায় জনসমাবেশ করতে আমরা নির্দিষ্ট একটা জায়গা চেয়েছি। দিলে ভালো হবে। আর টালবাহানা করে কোনো লাভ নাই। সারা ঢাকা শহরে মানুষ দিয়ে সয়লাব হয়ে যাবে। নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় তখন সমাবেশ হবে না। সারা ঢাকা শহরেই তিন থেকে চারদিন সমাবেশ হবে। আমার মনে হয় ঢাকা শহরে সপ্তাহব্যাপী সমাবেশ হবে। কারণ অন্যান্য বিভাগে তিন চার দিন ধরে হয়েছে।’
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহজাদা মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ইয়ূথ ফোরামের মুহাম্মদ সাইদুর রহমান প্রমুখ।