পেঁয়াজ নিয়ে থামছে না আলোচনা। এবার সাতক্ষীরার বিভিন্ন গ্রামে ফসলের মাঠ থেকেই চুরি হয়ে যাচ্ছে পেঁয়াজ। চুরি ঠেকাতে হিমশিম খেয়ে এ বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে বলছে পুলিশ প্রশাসন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দিগং গ্রামে বিভিন্ন ফসলের মাঠে রাত জেগে টর্চ নিয়ে পাহারা দিতে দেখা যায় এলাকার লোকজনকে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কিছুদিন ধরে রাতে ক্ষেত থেকেই চুরি হয়ে যাচ্ছে পেঁয়াজ।

পাহারারত কৃষকপুত্র আশরাফুল জানান, তাঁদের এলাকাজুড়ে বর্তমানে পেঁয়াজ চুরির হিড়িক পড়েছে। পুরো ফসলি এলাকা পাহারা দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় প্রতিদিন একেক পাশে পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা। তবে যেদিন যে এলাকায় পাহারা দেওয়া হয়, চোররা সেদিন অন্য এলাকায় চুরি করছে।

কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার এজাহার আলী জানান, সাধারণ মানুষ গ্রাম্য দফাদারদের সমীহ করে চলে। সেই দফাদার হয়েও রেহাই পাননি তিনি। তাঁর ক্ষেতের সব পেঁয়াজ চুরি হয়ে গেছে। এর আগে কখনোই ফসলের মাঠে এভাবে পাহারা দিতে হয়নি। কিন্তু পেঁয়াজের দাম বাড়ার পরে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটে চলছে। ফলে কৃষকরা অপরিপক্ব অবস্থায় পেঁয়াজ তুলে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন।

পেঁয়াজচাষি আবুল হোসেন ভুট্টো জানান, এবার পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার পর পেঁয়াজের বীজের দামও বেড়েছে। ফলে প্রথমেই এক বড় সংকটে পড়েছে কৃষক। তারপর আবার এই পেঁয়াজ চুরির ঘটনায় তাঁদের মাথায় হাত উঠেছে।

পেঁয়াজচাষি ছবুর দাই, নওশের আলী দাই, নজরুল দাই, শাহালম গাজী, সাইদুল ইসলাম, সাত্তার গাজীসহ অনেক কৃষকই নিজেদের ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ চুরি হয়ে যাওয়ার কথা জানান। চুরি ঠেকাতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তাঁরা।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরার বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, ক্ষেতে পেঁয়াজ চুরি ঠেকাতে সম্মিলিত প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।